রমজানের শুরুতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। মাঝে কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও ঈদের আগে আবারো সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে। মাছ, গোশতসহ সব ধরনের মশলার দামই চড়া। শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে রোজার শুরুর দিকে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৬০ টাকা ছিল। এরপর তা কমে ১২৫-১৩০ টাকা পর্যন্ত নামে। খিলগাঁও বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।
বিক্রেতারা জানান, বুধবারও প্রতি কেজি মুরগি ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ব্রয়লারের পাশাপাশি বেড়েছে কক মুরগির দামও। প্রতি কেজি তা ২৮০ টাকায় উঠেছে, যেটা রোজার মাসের মাঝামাঝি ২৫০ টাকা পর্যন্ত নেমেছিল বলে জানান ব্যবসায়ীরা। খামার পর্যায়েও মুরগির দাম বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, খামার পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫ টাকার মতো বেড়ে ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। আর কক মুরগির কেজি প্রতি দাম ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ঈদে চাহিদা বাড়ে। ব্যবসায়ীরাও বাড়তি খরচ মেটানোর জন্য একটু বেশি দাম রাখার চেষ্টা করেন। এ কারণেই মুরগির বাজার বাড়তি।
চিনির দামও বেড়েছে। পাইকেরি দরে এত দিন প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চিনি দুই হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা ১০০ টাকা বেশি। ফলে প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ২ টাকা। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চিনি ৫৪-৫৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
চীনা রসুনের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা ও দেশি রসুন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদার দামও বেশ চড়া। চীনা আদা ১২০ টাকা ও ইন্দোনেশিয়ার আদা ১৮০ টাকা চাইছেন বিক্রেতারা। পেঁয়াজের প্রতি কেজি দর ৩০ টাকার আশপাশেই আছে। বেশির ভাগ সবজি প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য বেগুনের দাম কিছুটা বাড়তি।
এদিকে ২৬ রমজানের পর থেকে গরুর গোশতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে গোশত ব্যবসায়ীরা। রমজানে গরুর গোশত ৫২৫ টাকা এবং খাসি ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় সিটি করপোরেশন। এখন থেকে এ দাম আর মানবে না ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ গোশত ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, নিরুপায় হয়ে ২৬ রমজান থেকে গোশতের মূল্য তালিকা প্রত্যাহার করে নিতে হলো, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অসহযোগিতার কারণে। সরকার নির্ধারিত গাবতলী গরু হাটের খাজনা বাস্তবায়ন ছাড়া, সরকার নির্ধারিত মূল্যে গোশত বিক্রি করা সম্ভব নয়।
Leave a Reply